স্বাগত বক্তব্যঃ

                জাতির জনক বঙ্গ বন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গোপসাগর বিধৌত পৃথিবীর সর্ববৃহত ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন সংলগ্ন সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল (এম এ ) মাদ্রাসা। মাদ্রাসাটি সর্বপ্রথম 1947 ইং সালে বঙ্গ-ভারতের ওলীকূল শিরমনি শাহ সূফি হযরত ফজলুল করিম (রহঃ) এর আধ্যাত্মিক জগতে উদ্ভাসিত হয়। যার ফলে তিনি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ঠিক 21 বছর পূর্বে উক্ত মাদ্রাসার নামে 24 বিঘা জমি ওয়াকফ্ করেন। কিন্তু তখনও মাদ্রাসাটি দৃশ্যমান হয়নি। কালের ধারাবাহিকতায় তারই ভক্তবৃন্দ মরহুম মোকছেদ আলি সরদার, মোঃ আমির আলি সরদার, মোঃ আব্দুর রশিদ মাষ্টার, মোঃ মোকাম আলি সানা, মোঃ বদরুদ্দোজা সরদার ওরফে বধুই সরদার প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ 1965 ইং সালের শেষদিকে পূরাতন সাতক্ষীরার ছয়আনি জমিদার বাড়িতে ফোরকানিয়া মাদ্রাসা আকারে প্রথমত কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। কয়েক বছর সেখানে চলার পর জনৈক ব্যক্তির অসন্তুষ্টির কারণে ফোরকানিয়া মাদ্র্রাসাটি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা ও সাধনার পর 1967 ইং সালের প্রথম দিকে প্রয়াত মোকছেদ আলি সরদার ও বদরুদ্দোজা / বধুই সরদার সহ অনেকে আশাশুনি গামী রাস্তার ধারে “গোয়ালের বাগানে ” ( বর্তমান অবস্থানে) ঐ ফোরকানিয়া মাদ্রাসা পূনরায় চালু হয়। একই সময়ে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বিশেষ করে মৃত গোলাম মোহাম্মদ বিশ্বাস, আব্দুল মাজেদ বিশ্বাস, আলহাজ্ব আব্দুল জব্বার সরদার, আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ সরদার (মেজো ভাই ) ও আলহাজ্ব ইউনুস আলি মাষ্টার এবং রইচ উদ্দিন সরদার প্রমুখ উক্ত মক্তবের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু কন। তাদের জোর প্রচেষ্টায় এ সময়ে মরহুম মোকছেদ আলি সরদার ও মোঃ বদরুদ্দোজা সরদার ওরফে বধুই সরদার এর থেকে উক্ত মাদ্রাসার নামে প্রাথমিকভাবে 51 শতক জমি রেজিষ্ট্রি করা হয়।

      এছাড়া মাদ্রাসাটিতে 1971 ইং সাল হতে মাদ্রাসা বোর্ডের জে ডি সি, দাখিল ও আলিম এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ফাযিল স্নাতক ও কামিল স্নাতকোত্তর পরীক্ষার অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে সূশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে প্রায় দেড় হাজারের অধিক ছাত্র – ছাত্রী পড়াশুনা করছে।