সাম্প্রতিক খবর
*** ফাজিল (স্নাতক) পাস ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষ পরীক্ষা-২০২৩ এর পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি-১৭/১০/২০২৪ শুরু ও শেষ-৫/১১/২০২৪ *** সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসায় কামিল স্নাতকোত্তর ১ম ও ২য় পর্বের পরীক্ষা-২০২২ এর মৌখিক পরীক্ষা আগামী ২৬/০৫/২০২৪ ও ২৭/০৫/২০২৪ তারিখে সকাল ৯.০০ ঘটিকা হতে শুরু হবে। ইনশাল্লাহ শিক্ষার্থীগন তাদের প্রবেশ পত্র ও রেজিঃ কার্ড (মূল)সংগে নিয়ে আসবে । ***
ডাউনলোড
মাদরাসার তথ্য

মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাকাল ইতিহাস

বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গোপসাগর বিধৌত পৃথিবীর সর্ববৃহত ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন সংলগ্ন সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল (এম ) মাদ্রাসা মাদ্রাসাটি সর্বপ্রথম 1947 ইং সালে বঙ্গ-ভারতের ওলীকূল শিরমনি শাহ সূফি হযরত ফজলুল করিম (রহঃ) এর আধ্যাত্মিক জগতে উদ্ভাসিত হয় যার ফলে তিনি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ঠিক 21 বছর পূর্বে উক্ত মাদ্রাসার নামে 24 বিঘা জমি ওয়াকফ্ করেন কিন্তু তখনও মাদ্রাসাটি দৃশ্যমান হয়নি কালের ধারাবাহিকতায় তারই ভক্তবৃন্দ মরহুম মোকছেদ আলি সরদার, মোঃ আমির আলি সরদার, মোঃ আব্দুর রশিদ মাষ্টার, মোঃ মোকাম আলি সানা, মোঃ বদরুদ্দোজা সরদার ওরফে বধুই সরদার প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ 1965 ইং সালের শেষদিকে পূরাতন সাতক্ষীরার ছয়আনি জমিদার বাড়িতে ফোরকানিয়া মাদ্রাসা আকারে প্রথমত কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা করেন কয়েক বছর সেখানে চলার পর জনৈক ব্যক্তির অসন্তুষ্টির কারণে ফোরকানিয়া মাদ্র্রাসাটি প্রায় বন্ধ হয়ে যায় অনেক চেষ্টা সাধনার পর 1967 ইং সালের প্রথম দিকে প্রয়াত মোকছেদ আলি সরদার বদরুদ্দোজা / বধুই সরদার সহ অনেকে আশাশুনি গামী রাস্তার ধারেগোয়ালের বাগানে ” ( বর্তমান অবস্থানে) ফোরকানিয়া মাদ্রাসা পূনরায় চালু হয় একই সময়ে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বিশেষ করে মৃত গোলাম মোহাম্মদ বিশ্বাস, আব্দুল মাজেদ বিশ্বাস, আলহাজ্ব আব্দুল জব্বার সরদার, আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ সরদার (মেজো ভাই ) আলহাজ্ব ইউনুস আলি মাষ্টার এবং রইচ উদ্দিন সরদার প্রমুখ উক্ত মক্তবের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করান তাদের জোর প্রচেষ্টায় সময়ে মরহুম মোকছেদ আলি সরদার মোঃ বদরুদ্দোজা সরদার ওরফে বধুই সরদার এর থেকে উক্ত মাদ্রাসার নামে প্রাথমিকভাবে 51 শতক জমি রেজিষ্ট্রি করা হয় মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার এসব স্বপ্নদ্রষ্টারা ছাড়াও প্রয়াত ওবায়দুল্লাহ ( মেম্বর ), আশরাফ আলি সিদ্দিকি ( মাষ্টার ), মোঃ আঃ হামিদ সরদার মোঃ আঃ রউফ (বড় ভাই ) এর সার্বিক প্রচেষ্টায় অত্র এলাকার মাহতাব মন্ডল ( নিঃসন্তান নবমুসলিম ) উক্ত ফোরকানিয়া মাদ্রাসার নামে 12 (বার ) বিঘা জমি দান করেন শিক্ষা কার্যক্রমের প্রাথমিক পর্যায়ে যারা অনস্বীকার্য অবদান রেখে গেছেন তথ্মধ্যে প্রয়াত মাকবুল হাফেজ শামছুর রহমান, ক্বারী আব্দুল মোত্তালেব, জনাব বাহারুল্লাহ উস্তাদজী আঃ রশিদ মাষ্টার এবং ইসহাক ফারুকী অন্যতম এরপর দক্ষিণ এলাকার ইলমে ওহীর অন্যতম পিপাসু মাওঃ শামসুর রহমানের দক্ষ, যোগ্য সূনিপূণ নেতৃত্বে সভাপতি আলহাজ্ব আঃ রশিদ (মেজো ভাই ) সেক্রেটারী আলহাজ্ব ইউনুস আলি মাষ্টারের পরিচালনায় এবং প্রয়াত মাকবুল হাফেজ শামছুর রহমান, ক্বারী আব্দুল মোত্তালিব, জনাব বাহারুল্লাহ উস্তাদজী, আঃ সাত্তার সরদার ( মুয়াজ্জিন ), আঃ রশিদ মাষ্টার, ইসহাক ফারুকী, মাওঃ শরফুদ্দীন ( দহাকুলা ), মোঃ রহমাতুল্লাহ ( অংক শিক্ষক, কুমিল্লা ), মাওঃ জামাল উদ্দীন লাবসার ক্বারী আঃ রাজ্জাক এবং মাওঃ ইসহাক সাহেব বৃন্দের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় উক্ত ফোরকানিয়া মাদ্রাসাটি স্তরে স্তরে ক্রমোন্নতির দিকে ধাবিত হয় পরবর্তিতে দেশ-বিদেশের ইসলাম প্রেমিক স্থানিয় জনগনের সর্বত্মক সহযোগীতা ( বিশেষ করে প্রয়াত সাংসদ কাজী শামসুর সহমান,  আলহাজ্ব রোহেল হক সরদার, আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম আলহাজ্ব আঃ খালেক ) এবং সুযোগ্য পরিচালনা পর্ষদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বর্তমানে মাদ্রাসাটির শিক্ষাস্তর নিম্নরুপঃ

   ফোরকানিয়া মাদ্রাসা – 01-01-1968

   হেফজুল কুরআন বিভাগ – 01-01-1970

   দাখিল / এস এস সি ( সমমান ) সাধারণ বিভাগ - 01-01-1970 ইং,

                                               মুজাব্বিদ বিভাগ-01-01-1985 ইং,

                                                বিজ্ঞান  বিভাগ- 01-01-1986 ইং

                                               কম্পিউটার বিভাগ-01-01-2011 ইং

   আলিম / এইচ এস সি (সমমান ) সাধারণ বিভাগ – 01-07-1972 ইং,

                                               বিজ্ঞান বিভাগ – 01-07-1983 ইং,

                                             মুজাব্বিদ বিভাগ – 01-01-1972 ইং

   ফাযিল / স্নাতক 01-07-1972 ইং

  কামিল / স্নাতকোত্তর ফিকহ বিভাগ – 01-07-1974 ইং,

                                 হাদীস বিভাগ -01-07-1993 ইং প্রথমে বরিশাল ডি পি পি আই পরে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে  স্বীকৃতি লাভ করে

      এছাড়া মাদ্রাসাটিতে 1971 ইং সাল হতে মাদ্রাসা বোর্ডের জে ডি সি, দাখিল আলিম এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ফাযিল স্নাতক কামিল স্নাতকোত্তর পরীক্ষার অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে সূশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে প্রায় দেড় হাজারের অধিক ছাত্রছাত্রী পড়াশুনা করছে